ইন্দোনেশিয়ায় প্লাস্টিক বর্জ্যের বিকল্প
ইন্দোনেশিয়ায় প্লাস্টিক রিসাইক্লিং এর হার মাত্র ৮ শতাংশ৷ সারা বিশ্বে এ হার ১৫ শতাংশের মতো৷ আর এই হার বাড়াতে এখনও অনেক কাজ করতে হবে-বললেন গ্রিনহোপ সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সুগিয়ান্তো তান্দিয়ো।
পেশায় একজন ইঞ্জিনিয়ার সুগিয়ান্তো তান্দিয়ো বলেন, একবার ব্যবহার করা হয় এমন প্লাস্টিকের ব্যাগ প্রতিদিনই ব্যবহার করেন ইন্দোনেশিয়ানরা। তাই প্লাস্টিকের ব্যবহার কমাতে আমরা সবার আগে নজর দিয়েছিল পরিবেশবান্ধব এমন ব্যাগ তৈরির ক্ষেত্রে।
পরিবেশবান্ধব এমন ব্যাগ তৈরিতে সুগিয়ান্তোসহ অন্যান্য বিজ্ঞানীরা বেছে নিয়েছেন কাসাভাকে। কাসাভা বা ম্যানিয়োক গাছের শিকড় থেকে নিঃসৃত ট্যাপিওকা নামের মাড় জাতীয় পদার্থ দিয়ে বায়োডিগ্রেডেবল পলিমার তৈরি করে৷ সেটি প্রক্রিয়াজাত করে প্লাস্টিকের বিকল্প হিসেবে কাজে লাগানো যায়৷
এশিয়া, আফ্রিকা ও ল্যাটিন অ্যামেরিকার গ্রীষ্মমণ্ডলীয় অঞ্চলে কাসাভা চাষ হয়৷ সুগিয়ান্তো তান্দিয়ো বলেন, এই হলো কাসাভা গাছ, এটি মাটির নীচে বড় হয়৷ শুধু বের করে নিলেই চলে৷ লোকে শুধু কন্দ বার করে নেয়, যা স্টার্চের উৎস৷ গাছের কাণ্ড প্রায় ২-৩ মিটার দীর্ঘ হতে পারে৷ গাছের পাতা সালাদের মধ্যে খাওয়া যায়৷ কাসাভা সস্তা ও সুলভ৷ তার পুষ্টির মাত্রাও বেশি নয়৷ তাই অনায়াসেই অন্য কাজে ব্যবহার করা চলে৷ ইন্দোনেশিয়ার মতো উন্নয়নশীল দেশে প্লাস্টিকের বিকল্প অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ৷
তিনি জানান, ইন্দোনেশিয়ার অন্যতম প্রধান খুচরা বিপণীর জন্য কাসাভা-ভিত্তিক বাজারের থলে তৈরি করা হয়েছে৷
সূত্র: ডয়েচেভেলে
Hello, I log on to your blog regularly. Your story-telling style is witty, keep it up!