বায়ুদূষণ: শিশুর জীবন থেকে হারিয়ে যাচ্ছে ২০ মাস
বায়ুদূষণের কারণে দক্ষিণ এশিয়ার শিশুদের জন্মানোর সঙ্গে সঙ্গেই ২০ থেকে ৩০ মাস হারিয়ে যাচ্ছে বলে এক গবেষণা প্রতিবেদনে উঠে এসেছে।
এই বয়স হারিয়ে যাওয়া মানে গড় আয়ু কমে যাওয়া। অর্থাৎ যে শিশু বড় হয়ে ৭০ বছর বয়সে মারা যেত, তার আয়ু সাড়ে ৬৭ বছরেই ফুরিয়ে যাবে। বায়ুদূষণ থেকে শুধু ক্রনিক অবস্ট্রাকসিভ পালমোনারি ডিজ়িজ (সিওপিডি)এর মতো শ্বাসনালি বা ফুসফুসের ক্যান্সারই নয়, মস্তিষ্কের রোগ এবং ডায়াবেটিসও হচ্ছে।
৩ এপ্রিল (বুধবার) মার্কিন জনস্বাস্থ্য গবেষণা সংস্থা ‘হেল্থ এফেক্ট ইনস্টিটিউট’-সহ একাধিক প্রতিষ্ঠানের যৌথ রিপোর্ট ‘দ্য স্টেট অবল গ্লোবাল এয়ার, ২০১৯’ প্রকাশিত হয়েছে। সেই রিপোর্টে উঠে এসেছে, দক্ষিণ এশিয়ার নবজাতকদের উপরে বায়ুদূষণের এই প্রভাবের কথা। ম্যালেরিয়া, সড়ক দুর্ঘটনা, অপুষ্টি ও মাদকের পরই রয়েছে বায়ুদূষণের কারণে মানুষের মৃত্যুর হার। এই রিপোর্টে ২০১৭ সালের তথ্য-উপাত্ত ব্যবহার করা হয়েছে। বলা হয়েছে, বাংলাদেশ যদি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার লেভেল অনুযায়ি নিজেদের দূষণ কমিয়েও আনে, তবুও শিশুর জীবন থেকে ঝড়ে যাবে এক বছর ০৩ মাস। আর এক্ষেত্রে ভারত, পাকিস্তান আর নাইজেরিয়ায় শিশুর জীবন থেকে ঝড়ে যাবে প্রায় ০১ বছর। বাইরের সীসা মিশ্রিত বায়ু আর ঘরের অস্বাস্থ্যকর ধুলোই শিশুর জন্য এই মৃত্যু ডেকে আনছে।
রিপোর্টে বলা হয়েছে, দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে চীনে শুধুমাত্র বায়ুদূষণের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ কারণে ২০১৭ সালেই প্রায় সাড়ে ৮ লাখ মানুষের করুণ মৃত্যু হয়েছে। ২০১৭ সালে সারা পৃথিবীতে বায়ুদূষণের প্রভাবে মারা গেছে ১৪৭ মিলিয়ন মানুষ।
good news!